ইসলামে সহমর্মিতা

নবম শ্রেণি (মাধ্যমিক ২০২৪) - ইসলাম শিক্ষা - Islamic Study - | NCTB BOOK
67
67

ইসলামে সহমর্মিতা

দলগত কাজ

আমাদের চারপাশের বিদ্যমান সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ' (প্রিয় শিক্ষার্থী।

তুমি তোমার সহপাঠীর সাথে আলোচনা করে চারপাশে বিদ্যমান বিভিন্ন সমস্যা বা চ্যালেঞ্জগুলোর একটি তালিকা তৈরি করো। মনে রাখবে, এ অধ্যায়ের শেষে তোমাদের চিহ্নিত সমস্যাগুলো হতে তোমরা একটি সমস্যা নির্বাচন করে সেটি সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করবে।)

আমরা মহান আল্লাহর সৃষ্টি। হযরত আদম (আ.) ও হাওয়া (আ.) থেকে মহান আল্লাহ আমাদের সৃষ্টি করেছেন। এ জন্য সৃষ্টিগতভাবে সকল মানুষই সমান। তিনি মানুষকে সম্মানিত করেছেন এবং সকল সৃষ্টির মধ্যে শ্রেষ্ঠত্বের আসনে সমাসীন করেছেন। তাঁর দেওয়া জীবনব্যবস্থা অনুসারে মানুষ সমাজবদ্ধ হয়ে বসবাস করে। সমাজে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ ও শ্রেণি-পেশার মানুষ থাকে। সমাজে কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়; বরং একে অন্যের প্রতি নির্ভরশীল। এজন্য সমাজে প্রত্যেকেরই পরস্পরের প্রতি কিছু দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সকল ধর্মের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করা এসব দায়িত্ব-কর্তব্যসমূহের অন্যতম।

মানুষ ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে, শিক্ষাক্ষেত্রে কিংবা কর্মক্ষেত্রে নানারকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়। কখনো সে আকস্মিক বিপদে পতিত হয় আবার কখনো সে অতিরিক্ত মানসিক চাপ অনুভব করে। এসব কারণে বিষন্নতা, মানসিক বিপর্যস্ততা, হতাশা ইত্যাদি তাকে পেয়ে বসে। এ ধরনের পরিস্থিতিতে ঐ ব্যক্তির সঙ্গে মানসিকভাবে একাত্ম হওয়ার নাম সহমর্মিতা।

সহমর্মিতা অর্থ সমব্যথী হওয়া, মানুষের প্রতি দয়ার্দ্র হওয়া, সাহায্য করার ইচ্ছা করা, অপরের বেদনা নিজের ভেতর অনুধাবন করা ইত্যাদি। মানুষের দুঃখ-কষ্টে, বিপদে-আপদে, রোগে- শোকে পাশে থাকা কিংবা বিপন্ন মানুষের বেদনা, মনোকষ্ট উপলব্ধি করে তাদের সঙ্গে একাত্ম ও সমব্যথী হওয়াই সহমর্মিতা। অন্য কথায়- মানুষের সকল যন্ত্রণা, কষ্ট, পীড়ন ও বিষণ্ণতাকে নিজের অনুভূতিতে স্থান দিয়ে সে অনুযায়ী আচরণ করাকে সহমর্মিতা বলে।

ইসলামে সহমর্মিতার স্বরূপ

ইসলাম মানবিক মূল্যবোধ চর্চা করতে শেখায়। ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সকলের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন তারই অংশ। পবিত্র কুরআন ও হাদিসে সমাজের সবার প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন করতে বলা হয়েছে। মহানবি (সা.) এবং সাহাবিদের জীবনে সহমর্মিতার অনেক বাস্তব শিক্ষা দেখতে পাওয়া যায়।

সাহাবিরা সব সময় নিজের ওপর অন্যকে প্রাধান্য দিতেন। নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও অন্যকে উজাড় করে দিতে কার্পণ্য করতেন না। নিজেরা ক্ষুধার্ত হলেও অন্যের মুখে খাবার তুলে দিতেন। নিজেদের ধন-সম্পদ, ঘর-বাড়ি, কৃষিজমি, গবাদিপশু-সবকিছুই তারা অপরের কল্যাণে অবলীলায় দান করতেন।

মহানবি (সা.) ৬২২ খ্রিস্টাব্দে মদিনায় হিজরত করেন। তাঁর সঙ্গে অনেক সাহাবিও হিজরত করেন। হিজরত করে আসা এই মুহাজির সাহাবিদেরকে মদিনার আনসার সাহাবিরা সাদরে বরণ করে নেন। নিজেদের ধন সম্পদ, ঘর-বাড়ি মুহাজিরদের দিয়ে ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতার অতুলনীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। তাঁদের এই নিঃস্বার্থ সহমর্মিতাকে উদ্দেশ্য করে আল্লাহ তা'আলা বলেন, 'আর তাঁরা (আনসার) তাঁদেরকে (মুহাজির) নিজেদের ওপর অগ্রাধিকার দেয়, নিজেরা অভাবগ্রস্ত হলেও। যাদের অন্তর কার্পণ্য থেকে মুক্ত রাখা হয়েছে, তারাই সফলকাম।' (সূরা আল-হাশর, আয়াত: ৯)

হাদিসে এক মুসলিমকে অপর মুসলিমের ভাই আখ্যা দেওয়া হয়েছে। তাই এক ভাই কখনোই অপর ভাইকে অপমান করবে না, তার জান-মালের ক্ষতি হতে দেবে না, তাকে হেয় করে দেখবে না: বরং সেই ভাই যখনই কোনো বিপদে পড়ে, তার সাহায্যে এগিয়ে আসতে হবে। সে অসুস্থ হলে তার শুশ্রুষা করতে হবে, প্রয়োজনীয় ওষুধের ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যথিত হলে সাম্বনা দিতে হবে। প্রকৃতপক্ষে সমগ্র সৃষ্টিজগৎ আল্লাহর পরিবারস্বরূপ। সাধারণত কারো পরিবারের প্রতি কেউ সদাচরণ করলে পরিবারের কর্তাও তাঁকে ভালোবাসেন। তাই সৃষ্টিজগতের কারো প্রতি কেউ ভালো আচরণ করলে আল্লাহ তা'আলা তাঁকে ভালোবাসেন।

রাসুলুল্লাহ (সা.) কেউ অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যেতেন। তাঁর পবিত্র সাহচর্যে রোগী স্বস্তি বোধ করত। এমনকি অমুসলিম কেউ অসুস্থ হলেও তিনি তাকে দেখতে যেতেন। তাদের সাহায্য-সহযোগিতা করতেন। বিভিন্নভাবে সহমর্মিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন। একবার এক ইহুদি বালক অসুস্থ হয়ে পড়ল। মহানবি (সা.) তাকে দেখতে গেলেন। তার শিয়রে বসে তাকে স্নেহভরে ইসলামের দাওয়াত দিলেন। বালকটি তখন ইসলাম গ্রহণ করল। মহানবি (সা.) বললেন, 'আল্লাহর শুকরিয়া, যিনি তাকে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দিয়েছেন।'

মানুষের দুঃখে মর্মবেদনা অনুভব করা, সহমর্মী হওয়া ইসলামের শিক্ষা। মুতার যুদ্ধে বিশিষ্ট সাহাবি হযরত জাফর তাইয়ার (রা.) শাহাদাত বরণ করেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন বহু দূরে মদিনায় অবস্থান করছেন। মহান আল্লাহ তা'আলা তাঁকে তখনই এই খবর জানিয়ে দিলেন। তিনি এরপর জাফর (রা.)-এর বাড়িতে গেলেন। তার সন্তানদের জড়িয়ে ধরে চুমু দিলেন, তাঁর চোখ থেকে অঝোর ধারায় অশ্রু ঝরতে লাগল। তিনি সবাইকে বলে দিলেন, জাফর (রা.)-এর পরিবারের প্রতি যেন বিশেষ নজর রাখা হয়। সবাই তখন জাফর (রা.)-এর বাড়িতে খাবার রান্না করে পাঠিয়েছিলেন। কেউ মারা গেলে তার পরিবারের সবাই শোকে বিপর্যস্ত থাকে। স্বাভাবিকভাবে রান্না করে খাওয়ার মতো মানসিক শক্তি অবশিষ্ট থাকে না। এ জন্য মহানবি (সা.) এর নির্দেশনা হলো, মৃতের বাড়িতে রান্না করে খাবার পাঠানো। এটা ইসলামের সহমর্মিতাবোধের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন।

ভিন্ন ধর্মের মানুষের প্রতিও মহানবি (সা.) সহমর্মিতা প্রদর্শন করেছেন। কারণ, তিনি বিশ্ববাসীর জন্য কল্যাণকামী হিসেবে প্রেরিত হয়েছিলেন। আল্লাহ তা'আলা বলেছেন,

وَمَا أَرْسَلْنَكَ إِلَّا رَحْمَةً لِلْعَلَمِينَ

অর্থ: 'আমি আপনাকে বিশ্বজগতের প্রতি কেবল রহমতরূপেই প্রেরণ করেছি।' (সুরা আল আম্বিয়া, আয়াত: ১০৭)

মহানবি (সা.)-এর জীবনীতে আমরা ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সবার প্রতি সহমর্মিতার অসংখ্য উদাহরণ পাই। অনুরূপভাবে তিনি তাঁর উম্মতকে সকল সৃষ্টির প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শনের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। একবার হযরত আসমা বিনতে আবু বকরের মা আসমার কাছে বেড়াতে এলেন। তিনি সঙ্গে করে মেয়ের জন্য কিছু উপহার এনেছিলেন। কিন্তু তিনি অমুসলিম ছিলেন বলে আসমা (রা.) সেগুলো গ্রহণ করতে অস্বীকার করেন। তিনি রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে জিজ্ঞেস করেন, 'আমার মা তো অমুসলিম। মায়ের সঙ্গে আমি কেমন আচরণ করব?' রাসুলুল্লাহ (সা.)-আসমা (রা)-কে নির্দেশনা দিলেন, তিনি যেন তাঁর মায়ের সঙ্গে সদ্ব্যবহার করেন।

মক্কার কুরাইশ কাফিররা সব সময় মহানবি (সা.)-কে হত্যা করতে চেয়েছে, ইসলামকেও নিশ্চিহ্ন করে দিতে চেয়েছে। কিন্তু মহানবি (সা.) মক্কা বিজয়ের দিন তাদের সম্পূর্ণ ক্ষমা করে দেন। অভিভূত হয়ে তখনই অসংখ্য অমুসলিম ইসলাম গ্রহণ করেন। ইতিপূর্বে বদর যুদ্ধের সময় যেসব কাফির মুসলমানদের হাতে বন্দি হয়েছিল, তাদের সঙ্গেও তিনি সহমর্মী হতে এবং সদ্ব্যবহার করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।

খন্দকের যুদ্ধের পরে বনু হানিফা গোত্রের প্রধান হযরত সুমামা ইবন উসাল (রা.) ইসলাম গ্রহণ করেন। তিনি যখন মক্কায় গেলেন, মক্কার কাফিররা বলল, 'সুমামা, তুমি তো ধর্মত্যাগী হয়েছো।' সুমামা তখন বললেন, 'আমি মুসলমান হয়েছি। যতক্ষণ না রাসুলুল্লাহ (সা.) আদেশ দেন, তোমাদের এক দানা গমও আমি পাঠাব না।' এরপর সুমামা নিজ এলাকায় ফিরে এসে মক্কায় গম রপ্তানি বন্ধ করে দেন। কুরাইশরা দারুন খাদ্যাভাবে পড়ে গেল। তখন তারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে খাবারের জন্য অনুরোধ করল। রাসুলুল্লাহ (সা.) অনতিবিলম্বে সুমামাকে গম সরবরাহ করার আদেশ করলেন। সুমামা পুনরায় গম সরবরাহ শুরু করেন। মক্কাবাসীর খাদ্যের অভাব দূর হলো। অথচ মক্কার কাফির কুরাইশরা তখনো রাসুলুল্লাহ (সা.)-কে হত্যা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিল। ইতিপূর্বে তারাই মহানবি (সা.)-কে তিন বছর খাদ্য-পানীয় না দিয়ে শিয়াবে আবু তালিব উপত্যকায় আটকে রেখেছিল। মহানবি (সা.) চাইলে তাঁর শত্রুদের খাদ্যের কষ্ট দিয়ে দুর্বল করে ফেলতে পারতেন। কিন্তু এই ভয়াবহ নির্দয় শত্রুর প্রতিও তিনি অসাধারণ সহমর্মিতা দেখালেন।

পরবর্তীকালে খুলাফায়ে রাশেদিনও মহানবি (সা.)-এর এই আদর্শ অনুসরণ করেছেন। হযরত উমর (রা.) যখন কোনো অমুসলিম দরিদ্র ব্যক্তিকে পেতেন, তাকেও বায়তুলমাল থেকে মুসলিম ব্যক্তির মতো সহযোগিতা করতেন। পবিত্র কুরআনে এমন সহমর্মিতাপূর্ণ আচরণ সম্পর্কে বলা হয়েছে, 'যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের সঙ্গে যুদ্ধরত নয় এবং মাতৃভূমি থেকে তোমাদেরকে বহিষ্কার করেনি, তাদের প্রতি মহানুভবতা দেখাতে ও ন্যায় বিচার করতে আল্লাহ তোমাদের নিষেধ করেন না।' (সূরা মুমতাহিনা, আয়াত: ৮)

একক কাজ

'আমি দৈনন্দিন কার্যক্রমে যেভাবে সহমর্মিতা চর্চা করবো'

(উল্লিখিত শিরোনামের আলোকে তুমি তোমার বাস্তব জীবনে সহমর্মিতা চর্চার ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করে শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক উপস্থাপন করো। এ কাজটি সঠিকভাবে করার জন্য প্রয়োজনে তুমি তোমার পরিবারের সদস্য, সহপাঠী বা শিক্ষকের সহায়তা নিতে পারো)।

সহমর্মিতার গুরুত্ব ও তাৎপর্য

মানবজীবনে সহমর্মিতার চর্চা থাকা খুবই জরুরি। সহমর্মিতায় মানুষের মানবিকতা প্রকাশ পায়। পারস্পরিক সহমর্মিতা না থাকলে মানুষ সমাজে থেকেও মানসিকভাবে নিঃসঙ্গ থাকে। তখন কেউ বিপদে-আপদে কারো পাশে দাঁড়ায় না, পারিবারিক বন্ধন ভেঙে পড়ে, ব্যক্তিগত সুবিধা-অসুবিধা বলার মতো কাউকে পাওয়া যায় না। এর ফলে মানসিক সমস্যাও বেড়ে যায়। সমাজে অপরাধ বৃদ্ধি পাওয়ার একটি বড় কারণ সহমর্মিতার অভাব।

সহমর্মিতা থাকলে সামাজিক সংহতি থাকে। সামাজিক সংহতি থাকলে সমাজের সকল মানুষ মিলেমিশে আনন্দে জীবনযাপন করতে পারে। হাদিসে সমগ্র মুসলিম জাতিকে একটি মানবদেহের সঙ্গে তুলনা করা হয়েছে। মানবদেহের কোনো অঙ্গ পীড়িত হলে ব্যক্তির পুরো শরীর জ্বরাক্রান্ত হয়ে পড়ে, তাকে অনিদ্রা পেয়ে বসে।

অনুরূপভাবে পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তে কোনো মুসলিম সমস্যায় পড়লে অপর মুসলিম মনোবেদনা অনুভব করে।

সহমর্মী ব্যক্তিকে আল্লাহ দুনিয়া-আখিরাত সর্বত্র সাহায্য করেন। মহানবি (সা.) বলেছেন, 'যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের পার্থিব কষ্টের একটি দূর করে দেয়, আল্লাহ কিয়ামতের দিন তার একটি কষ্ট দূর করে দেবেন। যে ব্যক্তি কোনো অভাবীর অভাবের কষ্ট লাঘব করে, মহান আল্লাহ তার দুনিয়া ও আখিরাতের কষ্ট লাঘব করবেন। যে ব্যক্তি কোনো মুসলমানের দোষ গোপন রাখবে, আল্লাহ দুনিয়া ও আখিরাতে তার দোষ গোপন রাখবেন। আল্লাহ বান্দার সহায়তায় থাকেন, যতক্ষণ বান্দা তার ভাইয়ের সহায়তায় থাকে।' (মুসলিম)

ইসলামের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাতের সঙ্গে সহমর্মিতার সরাসরি সংযোগ রয়েছে। যেমন হাদিসে রমযান মাসকে সহমর্মিতার মাস বলা হয়েছে। দান-সদকা করা, যাকাত দেওয়া, খাদ্য প্রদান করা, ইয়াতিম ও বিধবাদের রক্ষণাবেক্ষণ করা-প্রতিটি ক্ষেত্রে ইসলাম আখিরাতে মহাপুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে।

আমরা বাস্তবজীবনে ইসলামের সহমর্মিতার শিক্ষা প্রয়োগ করব। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে কেউ কষ্টে থাকলে সহমর্মী হয়ে তার পাশে দাঁড়াব। তাকে সান্ত্বনা দেবো। তার দুঃখ-কষ্ট লাঘব করার চেষ্টা করব। তাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য-সহযোগিতা করব। ইসলামের এই শিক্ষা মেনে চললে আমরা নিজেরাও যখন কোনো বিপদে পড়ব, আল্লাহর সাহায্য আমাদের সঙ্গে থাকবে। সবাই আমাদের প্রতি সহমর্মী হবে। তখন সামাজিকভাবে সবাই সুখে শান্তিতে বসবাস করতে পারবে।

অনুভূতি কর্নার

শিক্ষকের নির্দেশনা মোতাবেক এ অধ্যায়ের শুরুতে তোমাদের নির্বাচিত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ সমাধানের জন্য সবাই মিলে একটি অনুভূতি কর্নার তৈরি করো। যথাযথ স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার মাধ্যমে 'অনুভূতি কর্নার' এ প্রাপ্ত সহযোগিতা প্রধান শিক্ষক এবং শ্রেণি শিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী বিতরণের ব্যবস্থা করো।
Content added By
Promotion